মন কোন logic বোঝেনা,ধূ ধূ মরুভূমিতে ও মন যদি চায় সে সমুদ্রের স্বপ্ন দেখতে পারে।চারিদিকে নিঃশব্দ একটা আতঙ্ক, করোনার বিষাক্ত নিশ্বাসে আমাদের জীবন এখনো স্বাভাবিক হতে চাইলেও হতে পারচ্ছেনা। কোথাও বিষ ফোঁড়ার মতো চিনচিনে ব্যাথা। অর্থনৈতিক, মানসিক,সামাজিক এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই করোনা ভিষন ভাবে আঘাত করেছে।তারপরো আমরা লড়ে যাচ্ছি, আমাদের মন লড়াইয়ের রসদ যোগাচ্ছে।
আকাশে যখন টুকরো টুকরো সাদা সাদা মেঘ হালকা চালে ভেসে বেড়ায়, ভোরবেলায় ভেজা ভেজা হাওয়ায় হালকা চাদর গায়ে জড়িয়ে নিতে মন চায়,সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় পেট্রল ডিজেলের গন্ধের মধ্যেও নাক তার প্রিয় শিউলি ফুলের গন্ধ পেয়ে যায়,মন জানান দেয় মা আসছেন ….. মার আসার সময় হয়েছে। রক্তে কেমন যেন একটা আনন্দ ছলাত করে উঠে।সব কষ্ট, দুঃখ, দুশ্চিন্তা, কুচিন্তার মধ্যে ও মন পূজো পূজো করে উঠে।
মন আশায় বুক বাঁধে, মা আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে।যে দোকানগুলো সারা বছর টিমটিমে আলোতে দেখাই যেতনা, তারাও LED আলোয় ঝলমলিয়ে উঠে।করোনায় যে ব্যবসায়ীরা মাটিতে মিশে গিয়েছে তারাও কচি অঙ্কুর হয়ে সূর্যের দিকে মাথা তুলে তাকায়। দূর্গা পূজা শুধু কোন ধর্মীয় উৎসব নয়,এটা কোন বিনোদন নয়, এটা হাজার হাজার মানুষের রোজগার,এটা লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখের ভাত, এটা কোটি কোটি মানুষের মুখের হাসি।
এই হাসি যেন অম্লান হয় ।এই বছরের পূজো যেন নিরাপদ হয়।করোনাঅসুর যেন কোন প্রিয়জনকে আমাদের জীবন থেকে ছিনিয়ে না নেয়।পূজোর আনন্দ যেন আমাদের সবার জীবনে অমৃতের ধারার মতো ঝরে পরে। খাওয়া দাওয়ায়, হাসি আনন্দে,প্যান্ডেলে নিরাপদ দূরত্বে সব রকম করোনা বিধি মেনে,কলকাতার রাজপথ থেকে প্রতিটি গলি আলোর বন্যায় ভেসে যাক।সবাইকে “প্রধন্যা” পরিবারের পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা রইলো।
বীণা পাল